Sharing is caring!

সালেহ আহমদ (স’লিপক):
ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগ দখল থেকে বঞ্চিত হওয়া যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ রকিব হায়দার (সৈয়দ রুহেল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ঘটনায় বিচার চাইতে গিয়ে বড়ভাই ও তার শ্যালকের রোষানলে পড়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন এবং ওই স্বার্থান্বেষী মহল তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মরহুম সৈয়দ ইলিয়াস আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ রকিব হায়দার (সৈয়দ রুহেল) জানান, তারা ৫ ভাই ও ১ বোন সবাই বৃটিশ নাগরিক। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির অবস্থান দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর ও নগরীর ৪৭ পায়রা দর্শন দেউড়ীতে। তার পিতা-মাতা জীবদ্দশায় সম্পত্তি ওয়াকফ রেজিস্ট্রারি করে গেছেন। তার বড়ভাই সৈয়দ রফিজ হায়দার সুহেলকে পারিবারিক ওয়াকফ‘র মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করেন। এই ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে দর্শন দেউড়ীর চার তলা বাসার ১ তলার ভাড়া মসজিদে দান করার অসিয়ত করেন। বাসার বাকী ৩ তলার মধ্যে একটি ফ্লাটে পরিবারের সবাই বসবাসের জন্য এবং বাকী ১ম ও ২য় তলায় চারটি ফ্লাটের ভাড়া সবাই সমভাগে বণ্টন করে ভোগ করার অসিয়ত করেন।
সৈয়দ রুহেল অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর বড়ভাই সৈয়দ সুহেল, সৈয়দ রহিম হায়দার জুবেল তার অন্যান্য ভাই বোনদের ফ্লাটে বসবাসের কোন সুযোগ দিচ্ছেন না এবং ফ্লাটের ভাড়া পাওয়া থেকেও বঞ্চিত করে রেখেছেন। বড়ভাই সৈয়দ রফিজ হায়দার আপন ভাই বোনদের বাদ দিয়ে তার শ্যালক হাসান কবির চৌধুরীকে বাসার কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। এই সুযোগে হাসান কবির তাদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তির বাসাটি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পত্রিকায় জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রচার করে। এ প্রেক্ষিতে তিনি গত ১০ মার্চ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত সৈয়দ রফিজ হায়দার সুহেল, সৈয়দ রহিম হায়দার জুবেল ও বড় ভাইয়ের শ্যালক বাসার কেয়ারটেকার হাসান কবির চৌধুরীর নামে গ্রেফতারী পরোওয়ানা জারি করেন। সেই সাথে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সততা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ রুহেল আরো জানান, তার দুইভাই ও বড় ভাইয়ের শ্যালক গ্রেফতার এড়াতে উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবীর প্যাডে ভূয়া জামিন নামার মাধ্যমে পুলিশের গ্রেফতার থেকে নিজেকে রহস্যজনকভাবে মুক্ত রাখেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আবেদন করেন। আদালত কোতোয়ালী থানা পুলিশকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কোন কারণ দর্শায়নি। পরে মামলাটি অন্য আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হলে হাসান কবির চৌধুরী আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু অন্যান্য আসামীরা এখনো পালাতক। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে তার ভাই ও ভাইয়ের শ্যালকসহ একটি কুচক্রী মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি এই চক্রের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।