আজ শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে সংখ্যালঘু অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা দাবিতে গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারে সংখ্যালঘু অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা দাবিতে গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

Sharing is caring!

সালেহ আহমদ (স’লিপক):
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মহিলা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখা সহ সনাতনী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সনাতনী ঐক্যমোর্চার কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন, গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সনাতনী ঐক্যমোর্চামৌলভীবাজার জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন ও গণসমাবেশে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আশু রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে নিত্য গেপাল গোস্বামী, কেতকী রঞ্জন ভট্টাচার্য, মুহিম দে, জোতিষ চন্দ্র রায়, সন্তোষ দাশ, অরুনাভ দে, শ্যামল দাশ, জয় চক্তবর্তি, মনোজ রায়, বিশ্বজিত দেব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় সনাতনী ও সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীপুরুষ ও শিশুকিশোররা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও গণসমাবেশে শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে উত্থাপিত ৮ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- (১) সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, (২) জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, (৩) অর্পিতসম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক বাঁধা অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে জমির মালিকানা ও দখল ভুক্তভোগীদের বরাবরে অনতিবিলম্বে প্রত্যর্পণ, (৪) জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সকল সংস্থায় অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ, (৫) দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন, (৬) বৈষম্যবিলোপ আইন প্রণয়ন, (৭) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের যথাযথভাবে কার্যকরীকরণ এবং (৮) হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপুজোয় অষ্টমী থেকে দশমী ৩দিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে’তে ১দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা।