আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গল শাখার  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ণ
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গল শাখার  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

Sharing is caring!

রূপক দত্ত চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ
 “সবার জন্য স্বাধীনতা,সমতা, ও ন্যায়বিচার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা’র আয়োজনে ৭৬ তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) রাত ৮টা হবিগঞ্জ রোডস্থ হোটেল শ্রীমঙ্গল ইন’র কনফারেন্স হলরুমে ৭৬তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসটি অত্যান্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মোঃ ফারুক খাঁন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম সেলিম।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আনিসুল ইসলাম আশরাফী, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মীর এম এ সালাম, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত রবিন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম রুম্মন, একরামুল মুসলিমীন এর সভাপতি মাওলানা এম এ রহিম নোমানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহেদ আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবামূলক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের মানবাধিকার কর্মী ও সার্ক মানবাধিকার সংগঠনের সকল সদস্য ও সদস্যাগণ।
অতিথিদের বক্তব্যে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথি বৃন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম (www.amarsylhet24.com)’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আনিসুল ইসলাম আশরাফী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আজ ৭৬ তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হলেও ইসলাম আমাদের কে আরো পূর্বেই মানবাধিকার শিখিয়েছেন কিন্তু আমরা সেই মানবাধিকার কাজে লাগাইনি আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরার কথা শিক্ষা দিয়েছেন । ধৈর্য্য ছাড়া মানবাধিকার পালনের কোন সুযোগ নেই, ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং নিজের সৃষ্টিগত দিক খেয়াল করতে হবে একসময় আমরা একটি অসহায় মানব সন্তান যখন ছিলাম যা ছিল পশুর বাচ্চার চেয়েও অপারগ অথচ তখন আমাদেরকে মানবাধিকার দিয়ে বড় করা হয়েছে কিন্তু আমরা বড় হয়ে যৌবনে এসে আমাদের পূর্বের কথাগুলো মাথায় রাখি না, কখনো কল্পনাও করি না যে আমরা কেমন ছিলাম এবং ভবিষ্যতে আমাদের কি হবে তা ও জ্ঞানে রাখি না এবং আমরা কোন ইতিহাস মনে রাখি না আমরা জানি না যে মহান আল্লাহ সম্মান দান করেন এবং তা কেড়ে নেন, যা ওদের থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সুতরাং অতীত থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা গোপনে ঘুষখোর, সুদখোর লাঠিয়ালদের হাতকে শক্তিশালী করি আর প্রকাশ্যে ন্যায়বিচার চাই! অথচ আমরা ২০ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নামাজ আদায় করি সেই নামাজে আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে আমরা যেন সরল পথ প্রার্থনা করি, আমরা যেন অতীতের ভালো মানুষদের রাস্তায় চলি, আমরা যেন গোমরাহের পথে চলি না, কিন্তু কাজের বেলায় আমরা তা লালন করি না বরং উল্টোটা করি। এ সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদেরকে আরো সচেতন এবং ইতিহাস পর্যালোচনা করে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এরকম কথাবার্তা তিনি তার বক্তব্যে প্রদান করেন। পরিশেষে সংগঠনের সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন খান এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।