প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ৮:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ণ
মিঠাপুকুরে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার সহ তিনদিনে দুই হত্যাকান্ড!
রুবেল হোসাইন সংগ্রাম,রংপুর প্রতিনিধি,
রংপুরের মিঠাপুকুরে তিনদিনের ব্যবধানে দুই মরদেহ উদ্ধার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
শনিবার (২১-ডিসেম্বর) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার ০৮ নং চেংমারী ইউনিয়নের ফকির হাট গিলাঝুকি দক্ষিণ পাড়া আমগাছের নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় এক অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার এবং গত বুধবার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের খুটির পাড়ায় মুরগির খামারের এক কেয়ারটেকারকে রাতে ছুরিকাহত করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে আমবাগানে আনুমানিক ৫৫ থেকে ৬০ বছরের অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ আমগাছের ডালের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা অবধি লাশের পরিচয় সনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং এটা হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
পৃথক ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর মিঠাপুকুরের গোকর্ণ নয়াপাড়ায় আবু হাছানের পোল্ট্রি খামারে কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী মন্ডল (৪০) প্রতিদিনের মতো পাশ্ববর্তী পীরগন্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী বাজার থেকে ফেরার পথে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের খুটিরপাড়ায় ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের শিকার হন। পরে পথচারী তার লাশ দেখতে পেয়ে স্বজন ও মিঠাপুকুর থানায় খবর দিলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে আর কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ এখনো তা জানতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে পরপর দুই হত্যাকান্ড এবং অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় স্বজনদের মধ্যে ক্ষোঁভের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার ইদ্রিস আলীর বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনার পর প্রধান সন্দেহভাজন আবু হাসান সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ থানা থেকেই চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে। তার দাবি, আমরা গরীব মানুষ। আমার ভাইয়ের স্ত্রী নেই। সঠিক যোগাযোগ না থাকায় পুলিশ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অপরাধীদের বাঁচাতে তৎপর। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, পুলিশ এই মামলায় গ্রেফতার বানিজ্য করছে। নির্দোষ কাউকে হয়রানি না করার ও অনুরোধ জানান তারা।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। চারজনকে গ্রেফতার করে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো নিরাপরাধ মানুষকে আমরা হয়রানি করতে চাইনা। তদন্তের প্রয়োজনে আবারো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দ্রুতই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলেও তিনি জানান।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2024 RED TIMES. All rights reserved.