জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,
মৌলভীবাজারের রাজনগর সড়ক ও জনপদ বিভাগের এর সম্পত্তি ৮ নং মনসুরনগর ইউনিয়ন পরিষদ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পওয়া গেছে।
জানাযায়, মৌলভীবাজার- রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ- সিলেট( এন- ৩০৮) জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের সময় এল,এ মামলানং- ৩১/৭০-৭১, ০৭/৭২-৭৩, ও ২৭/৭৭-৭৮ ইং এর মাধ্যমে রায়শ্রী, ধনাশ্রী, কদমহাটা, চাটুরা, মহলাল মৌজারর ভূমি অধিগ্রহন করা হয়।
এসময় মহলাল বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে সুরেশ চন্দ্র দেব নামে এক ব্যাক্তির এস এ খতিয়ান নং- ৪৪৮, দাগ নং- ৫৯৪ এল এ মামলা নং- ২৭/৭৭-৭৮ ইং মতে .০৮ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে মাটি উত্তোলন শেষে রাস্তার কাজ সমাপ্ত হলে বাকী জমি ডোবা ও মহলাল বাজারে আরো অধিগ্রহণকৃত ভূমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। গত কয়েক বছর আগে ৮ নং মনসুর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিলন বখত সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৫৯৪ দাগের মূল্যবান ভূমি সহ আরো কিছু ভূমি ইউনিয়ন পরিষদের দখলে নেন।
এসময় মহলাল বাজারে নিরীহ এক নওমুসলিমের ( জেলা প্রশাসকের সাথে মামলা চলমান) ভূমি দখল করে যাত্রী ছাউনি তৈরীর নাম করে দখল করেন। সওজ বিভাগের ভূমিতে ঘর নির্মান করে ভাড়াও দেন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সওজ বিভাগ বিষয়টি জেনেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে ভূমি অফিসের রেকর্ড পত্রে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের দখলকৃত এস এ ৪৪৮ খতিয়ানের ৫৯৪ দাগ, বর্তমান আর এস খতিয়ান ৪৪৫, দাগ নং-১৩৩৮ ভূমির পরিমান .০৮ শতক মালিক সুরেশ চন্দ্র দেব। ঔই ভূমি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে আরও ভূমির সাথে সুরেশ চন্দ্র দেবের .০৮ শতক রেকর্ড থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে সুরেশ চন্দ্র দেবের আরএস রেকর্ড ভূমিতে ৫০৯ নং দাগে .০৮ শতকে মহলাল চাঁন তারা ক্লাব রয়েছে। অনুমতি দখলে মহলাল চাঁন তারা ক্লাব।বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণের সময় ক্লাবের সভাপতি অনুমতি দখলে থেকে আওয়ামী সরকারের দাপট খাটিয়ে ৮ নং মনসুরনগর ইউনিয়ন পরিষদকে কিছু জমি রেজিষ্টারী করে দেন। এই সুবাদে সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিলন বখত মৌলভীবাজার সওজ বিভাগের ইউনিয়ন অফিসের দলিল করা বলে দখল করে নেন।
এব্যাপারে ৮ নং মনসুরনগর ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি, ক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ইউনিয়ন পরিষদকে ভূমি রেজিষ্টারি করে দিয়েছেন। এই মোতাবেক ইউনিয়ন অফিস ৫৯৪ এসএ, ১৩৩৮ আর এস দাগের .০৮ শতক ডোবা মাটি ভরাট করা হয়েছে । তবে যদি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাগজে পত্রে প্রমান হয় তারা বুঝিয়ে নেবে। তবে অন্য কোন ব্যাক্তি দখলে নেয় সেটা আমরা মানতে পরবোনা।
মৌলভীবাজার সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কায়সার হামিদ বলেন, কিছু দিন যাবৎ অভিযোগ পেয়েছি সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমি নথিপত্র দেখে এক সাপ্তাহের মধ্যে আমাদের জমি উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.