জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা.শফিকুর রহমান রহমান বলেছেন, মানবিক, সাম্য, শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। জাতি যদি আমাদের ঘাড়ে কোন দায়িত্ব অর্পণ করে তাহলে আমরা পাহারাদার হব। কখনো দেশের মালিকানা দাবী করব না। তিনি বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ কেউই সংখ্যালঘু নয়।আমরা সবাই বাংলাদেশী।সবাই এদেশের নাগরিক।আমরা সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্টা চাই। তিনি বলেন, বিগত দিনে আমাদের শীর্ষ ১১জন নেতাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম, হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। সারাদেশে আমাদের কার্যালয় বন্ধ রাখা হয় পাশাপাশি আমাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন সংগ্রাম থেমে যায় নি। জুলাই – আগষ্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশে পেয়েছি। এই দেশ আপনার, আমার ও আমাদের সবার। সবার অংশগ্রহণে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
শফিকুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন।নগরীর জিন্দাবাজারে এক অভিজাত হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর জামায়াতের আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজাহান আলী’র পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, রাম কৃষ্ণ মিশনের স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ, এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, দীপন রিজন সাংমা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, এডভোকেট বিজয বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মলয় পুরকায়স্থ, আনন্দ শ্রী, এড. রঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, শেখ মুজিবর রহমান জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন বাঙালি পরিচয় ছাড়া কেউ এদেশে থাকতে পারবে না। সেই থেকে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে যা আজোও বিরাজমান। ১৯৭২ সালে একটি সিনেমা প্রকাশ হয়েছিল ‘আবার তোরা মানুষ হ’ সেই ছবি নির্মাতা রচনা করেছিলেন আমরা অমানুষ হয়ে যাওয়ার কারণে। তিনি পুরান ঢাকার শ্রমিকদের কাহিনী বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘শ্রমিকরা বলল, আজ বুঝলাম আমরাও মানুষ।’তিনি বলেন,দেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট, হয়রানী এখনো চলছে। ৫ আগস্ট এর আগের মতো। শুধু ফ্লাগ বদলেছে। ফুটপাথেও দখলদারি চলছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। শফিকুর রহমান বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার সঠিক বিচার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।