Sharing is caring!
সালেহ আহমদ (স’লিপক):
২০২৪কে বিদায় ও নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে গত দুই সপ্তাহ ধরে মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পট কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল পর্যটকদের পদচারণায়। শীত মৌসুম ও বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও জেলার বিশেষ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে ভীড় জমান পর্যটকেরা।
সরজমিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, মাধবপুর লেইক, শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি, সবুজ চা বাগান সহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে শুধু দেশি পর্যটকই নয়, বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় সরব হয়ে উঠেছে স্পটগুলো। বিশেষ করে জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহক বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান, বিভিন্ন উপজেলার হাওর, বিল -ঝিলগুলোতে পর্যটকেরা ভীড় করছেন। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকেরও আনাগোনা রয়েছেন এসব স্পটে। শীত মৌসুমের ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন এই জেলায়। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটক পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বেশ কয়েকজন পর্যটকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে মৌলভীবাজারে ঘুরতে এসেছি। এই জেলায় একসাথে অনেকগুলো পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়। প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি এখানকার রিসোর্টগুলো অনেক সুন্দর। তারা আরো জানান, দীর্ঘদিন পর এই শীত মৌসুমে সকল ধরনের পর্যটন ব্যবসায় আশানুরুপ ভালো হয়েছে। পর্যটনশিল্প নিয়ে যে হতাশা ছিলো, তা কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করলে আগামীতে আরও পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম-সেবা বলেন, এ জেলায় শীত মৌসুমে অনেক বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকেরা যেন নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই ব্যাপারে পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।