আজ মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের শ্মশানের জন্য ২৩ কাঠা প্লট বরাদ্দ উত্তরায়

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ণ
ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের শ্মশানের জন্য ২৩ কাঠা প্লট বরাদ্দ উত্তরায়

Sharing is caring!

উৎফল বড়ুয়া
ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের শ্মশানের জন্য ঢাকার উত্তরায় ২৩ কাঠার প্লট বরাদ্দ দিয়ে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের অবসান ঘটালো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি- ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী।
একইসাথে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের পক্ষে স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী শ্মশানের জন্য এই জায়গা প্রাপ্তির কৃতিত্ব চট্টগ্রামে গর্বিত সন্তান আমাদের অতি আপনজন নোবেল বিজয়ী বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনেক বছরের লালিত স্বপ্ন ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের একটি শ্মশানের প্লট। উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারীর সাথে লাগোয়া ২৩ কাঠার প্লটটি রাজউক থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ৫ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম্প্রীতি সভা করেছিলেন। ওই সভায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়য়া চৌধুরী বক্তব্য দেন। প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাকাবাসী বৌদ্ধরা বৈষম্যের স্বীকার উল্লেখ করলে তিনি তা জানতে চান। তখন বলেছিলেন, ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের কোন সৎকার করার জন্য শ্মশান নেই। তাই মৃত্যুর পর হিন্দুদের শ্মশানে অনুমতি নিয়ে দাহ করতে হয়। নতুবা চট্টগ্রামে নিজেদের গ্রামে নিয়ে যেতে হয়। যা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের দ্বারা সম্ভব নয়।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা দরখাস্ত দিতে বলেন। তখন তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধরা শ্মশান অতি সহসা পাবে’। সেই ‘সহসা’ ঢাকাবাসী বৌদ্ধরা শ্মশানের জায়গা পেয়েছে, খুব দ্রুত।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-ঢাকা অঞ্চলের অনুকূলে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার।