আজ শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা একাডেমির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা একাডেমির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Sharing is caring!

সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তাফা একাডেমি এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়াটারস্থ শাহ মোস্তফা একাডেমিকর ক্যাম্পাসে প্রিন্সিপাল মোঃ ইয়ামীর আলীর সভাপতিত্বে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ পুরস্কার বিতরণী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক ইনামুল হক ইমনের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, যুক্তরাজ্যের বার্কিং ও ডেগেনহাম এর কাউন্সিলর মুহিবুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রাশেদুল ইসলাম।
বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও সুধীবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বদরুল আমিন চৌধুরীর সুফি, মোঃ আব্দুল আহাদ, মাওলানা মোজাম্মেল হক ও মামুনুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন আব্দুল হাদী আমিন, ফতে আলী আমিন, হালিমাতুস সাদিয়া সায়মা, ইউসুফ ইব্রাহিম জিয়াদ, আয়েশা সিদ্দিকা রেহনুমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ  ফজলুর রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশের জন্য মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ ও আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি ছাত্রের নিজস্ব প্রতিভা রয়েছে। আবার সবার যোগ্যতা কিন্তু সমান না। আপনার একটা ছাত্র সে খুব ভালো গান গাইতে পারে কিন্তু আর একটা ছাত্র ভালো গান গাইতে পারে না। আপনার একটা ছাত্র খুব ভালো চিত্রাঙ্কন করতে পারে, আরও একটা ছাত্র তা করতে পারে না। আরও একটা ছাত্র হয়তো বা সে ক্লাসের ফার্স্ট বয় হতে পারে, কিন্তু সে খেলাধুলা করতে পারে না। সে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে পারে কিন্তু সে ভালো কথা বলতে পারে না।
তিনি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ততার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের যতগুলো শিক্ষা কারিকুলাম প্রণীত হয়েছে। এটা যে খুব একটা মানব সম্পদ উন্নয়নের উপযোগী কারিকুলার সেটা কিন্তু আমরা বলতে পারব না। আমাদের ২০২১ সালের কারিকুলামে সেই জায়গাটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, কিন্তু একটা গুরুত্ব দিতে কি আরেকটা বাদ পড়ে গিয়েছিল। যার কারণে এই কারিকুলামটাও কিন্তু সফলতা অর্জন করতে পারে নাই। আমরা এখানে যোগ্যতার জায়গাটা নিয়েছি কিন্তু যোগ্যতার জায়গায় কাগজ কাটা, পেন্সিল কাটার মধ্যে সীমিত রেখেছি। আমরা কিন্তু এটাকে প্রাক্টিক্যালি যোগ্যতার জায়গায় নিয়ে যেতে পারি নাই। একুশের কারিকুলামে যোগ্যতার চেয়ে জ্ঞানের জায়গাটাকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রেখেছিলাম, যার কারণে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারিনি। তিনি আদর্শ নাগরিক তৈরীর জন্য নৈতিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ক্রিকেট, ফুটবল, বিস্কুট দৌড়, সুই সুতা, হাড়ি ভাঙ্গা প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৬৫টি পুরস্কার তুলে দেন।