সিলেট জেলা বারের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, প্রদেশ হলে সিলেট প্রদেশ হবে এটাই সিলেটবাসীর যুক্তিক দাবী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাকক্ষে সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত “প্রদেশ ভাবনা ও সিলেট প্রসঙ্গ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক, দ্য আর্থ অব অটোগ্রাফ সম্পাদক আবদুল কাদির জীবনের পরিচালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ কালাম আযাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস সিলেটের ব্যুরো চীফ সেলিম আউয়াল, সিলেট মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, দৈনিক নয়াদিগন্ত সিলেটের ব্যুরো চীফ আব্দুল কাদের তাপাদার, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কোষাধ্যক্ষ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গুলজার আহমদ হেলাল, দি নিউ ন্যাশন সিলেটের ব্যুরো প্রধান শফিক আহমদ শফি, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহপাঠাগার সম্পাদক কবি ইশরাক জাহান জেলী, কার্যকরি পরিষদের সদস্য কবি কামাল তৈয়ব এডভোকেট, স্কোলার্সহোম সিলেটের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভ্রমণ কাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার সিলেট মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক জোবায়ের আহমদ, আলোর অন্বেষণ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি সাজন আহমদ সাজু, কবি আব্দুস সোবহান, কবি কামাল আহমদ, ও তাপাদার জান্নাতুল জাহরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ আলকুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, সরকারি প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবি ছয়ফুল আলম পারুল।
সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রদেশ ভাবনা ও সিলেট প্রসঙ্গ’ বিষয়টি বর্তমান সময়ের প্রাসঙ্গিক। ভাষা আন্দোলন এভাবেই শুরু হয়েছিলো। প্রাদেশিক প্রক্রিয়ার মূখ্য বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করে মানুষের মৌলিক অধিকার জনগণের ধার-গোড়ায় পৌঁছে দেয়া।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে কবি কালাম আযাদ বলেন, আজকের বসা ঐতিহাসিক। যদি বাংলাদেশে দুটি প্রদেশ হয় তাহলে একটি প্রদেশ হবে সিলেট প্রদেশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম আউয়াল বলেন, সিলেটকে প্রদেশ করার দাবি সাম্প্রতিক কোনো দাবি নয়। অর্তনৈতিক সাংস্কৃতিক ভিত্তিতে অর্ধশতাব্দীর পূর্ব থেকেই সিলেটবাসীর এ দাবি করে আসছে। সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবির প্রতি যথাযথ সম্মান ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সরকার যথার্থ সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল কাদের তাপাদার বলেন, ভৌগলিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সুদূর অতীত থেকে সিলেটকে প্রদেশ করার জনগণের যুক্তিক দাবির সাথে আমি একমত পোষণ করি ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গুলজার আহমদ হেলাল বলেন, সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন যৌক্তিক দাবী।সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। ন্যায়সঙ্গত দাবী। দেশে যদি প্রদেশ দু’টিই হয়, তাহলে একটি সিলেটে হওয়া ন্যায্য অধিকার ও দাবী সিলেটের গণমানুষের। এক্ষেত্রে সিলেটবাসী যেন কোন বৈষম্যের শিকার না হয়। ইতিহাস ঐতিহ্য, শিল্প-কারখানা ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটকে প্রদেশ করার জনগণের দাবির সাথে আমি একমত পোষণ করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট কামাল তৈয়ব বলেন, সুদূর অতীতের প্রাঙ্গজন সিলেট কে প্রদেশ করার যে দাবী উত্তাপন করেছিলেন তার প্রতি বর্তমান সুশীল সমাজ সহমত পোষণ করে।
সভায় সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে যথাযথ তথ্য ও যৌক্তিকতা তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘সিলেট লেখক পরিষদ সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন গবেষণা সেল’ নামে একটি গবেষণা প্রকল্প শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, সংগঠক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীকে আহবায়ক করে গঠিত সেলের অন্যন্য সদস্যরা হলেন- কবি কালাম আযাদ, সাংবাদিক সেলিম আউয়াল, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, মোঃ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, সাংবাদিক আব্দুল কাদের তাফাদার, সাংবাদিক গুলজার আহমদ হেলাল, প্রাবন্ধিক শামসীর হারুনুর রশীদ, সাংবাদিক শফিক আহমদ শফি, কবি ইশরাক জাহান জেলী, কবি কামাল তৈয়ব, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, লেখক মোয়াজ আফসার, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, সংগঠক জোবায়ের আহমদ, কবি সাজন আহমদ সাজু, ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক আবদুল কাদির জীবন, কবি আব্দুস সোবহান, কবি কামাল আহমদ, তাপাদার জান্নাতুল জাহরা প্রমুখ।