শহিদুল ইসলাম, সিলেট,
সিলেট-বিয়ানীবাজার, চারখাই এর ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমি’র উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার সকাল ১১ টায় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুণীজন সম্মাননা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২নং চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমি’র সাবেক সভাপতি হোসেন মুরাদ চৌধুরী। উপস্থাপনা করেন তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমি’র সম্মানিত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম মহিলা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রথম মহিলা সফল কূটনীতিক নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আব্দুল মুহিত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি চিপ এক্সিকিউটিভ রিড কলেজ ইউক’র শিক্ষক মোসাদ্দেক আহমদ। কুয়েত প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আসাব উদ্দিন। সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি’র সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমাজ সেবক মোঃ শহিদুল ইসলাম। সিলেট জেলার বিএনপি সাবেক তাঁতি বিষয়ক সম্পাদক অহিদ আহমদ তালুকদার অহিদ আহমদ তালুকদার।
আরো উপস্থিত ছিলেন জামশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিয়ানীবাজার উপজেলা শিক্ষক সমিতি’র সম্মানিত সভাপতি আব্দুদ দাইয়ান। চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুল হাকিম। শেওলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক। বাগবাড়ি এসইডিইপি মডেল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান। অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী, বেলাল আহমদ চৌধুরী, বাবর আহমদ চৌধুরী, সাহেদ আহমদ চৌধুরী, কয়ছর আহমেদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্র/ছাত্রী সহ প্রমুখ।
এসময় নাসিম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষক-অভিভাবক, ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আমাদের নতুন প্রজন্মকে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিয়ে শিক্ষা দান করতে হবে, শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, জ্ঞানই হচ্ছে মানুষের শক্তি, তাই আমাদের শিশুদের সুশিক্ষা দান করতে হবে।
শিশুরা পবিত্র ও নিষ্পাপ। শিশুরা মঙ্গলের কারণ, আনন্দের উপকরণ ও প্রেরণার উৎস। শিশু মানব জাতির অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই শিশুর সুশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে ওঠার জন্য এবং তাদের মনন ও মেধার বিকাশের জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা। এ দায়িত্ব পিতা, মাতা, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজের প্রতিটি দায়িত্বশীল সচেতন নাগরিকের।
হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) বলেন: (প্রয়োজনীয়) ইলম বা জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর প্রতি ফরজ (অবশ্যপালনীয়) কর্তব্য। (ইবনে মাজাহ শরিফ)। হাদিসে আরও রয়েছে: যে ব্যক্তির তিনজন, দুজন বা একজন কন্যাসন্তান আছে; তিনি যদি তাদের বা তাকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করেন এবং সুপাত্রে পাত্রস্থ করেন, তাঁর জন্য জান্নাতের দরজাগুলো সর্বদা খোলা থাকে। (তিরমিজি শরিফ)। মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন: ‘যার রয়েছে কন্যাসন্তান, সে যদি তাকে (শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে) অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য না দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.