সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকেঃ

মৌলভীবাজারের  জুড়ীতে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর আওতায় ৩ দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) জুড়ী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল আলম খাঁনের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম খাঁনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবিএম জহুরুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুমিত সিংহ, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু, জুড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ সারাবেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, জুড়ী মডেল একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক উসমান হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ, কৃষক কৃষাণী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত উন্নত জাতের দেশি বিদেশি ফসল সহ ১৫টি কৃষি স্টল শোভা পায়। বিভিন্ন স্টলের মধ্যে চোখে পড়ার মধ্যে ছিল পাহাড়ী এলাকায় লেবু জাতীয় বাগান প্রদর্শন প্লট,  বার্মি কম্পোস্ট ও ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া, পারিবারিক পুষ্টিবাগান, নার্সারি, আরও কৃষি বিভিন্ন ধরণের উপকরণ সহ কৃষকদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এই মেলা ৩ দিন ব্যাপী অর্থাৎ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলুজ সূত্রধর বলেন, বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ তবুও কৃষি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ থেকে আমাদের আমদানি খুব কম লাগে। আমাদের দেশের উৎপাদিত ফসলে আমাদের দেশ চলে। আজকের এই মেলা এই জুড়ী অঞ্চলের কৃষকরা বাস্তবে এসে যদি দেখে তাদের বাস্তবিক জ্ঞান আরও বিকশিত হবে, পাশাপাশি এদেশের কৃষি ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল আলম খাঁন বলেন, এই মেলা করার মূল উদ্যেশ্য হলো দেশে যে উন্নত জাতের ফসল গুলো আমরা চাষাবাদ করছি এগুলো সমন্ধে প্রত্যান্ত অঞ্চলের কৃষকের জানানো ও শিখানো। পাশাপাশি আমরা উপজেলার সকল কৃষকদের একত্রিত করে কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর মাধ্যমে অনাবাদী জমি গুলো চাষের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা এব্যাপারে কৃষকদের সহযোগীতা পেলে আমাদের বিদেশ থেকে কৃষি পণ্য আমদানি করতে হবে না এটাই প্রযুক্তি মেলার মূল লক্ষ্য। এর পাশাপাশি আমাদের প্লাস্টিক ও পরিবেশ দূষণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এই প্লাস্টিক প্রকৃতি থেকে সরাসরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।