তাপস দাশ শ্রীমঙ্গল:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পর্যটক গ্রাম রাধানগরের সকল হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টের উদ্যোগে গঠিত “পর্যটন কল্যাণ পরিষদ, রাধানগর, শ্রীমঙ্গল”।
সংগঠনটির ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের রাধানগরস্থ ‘চামুং রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ইকো ক্যাফে’-তে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল-২০২৫।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহবায়ক ও অরণ্যের দিনরাত্রি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী কুমকুম হাবিবা। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব তারেকুর রহমান পাপ্পু। তিনি বিগত এক বছরের সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমের পর্যালোচনা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করেন। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও চামুং রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ইকো ক্যাফে’র স্বত্বাধিকারী তাপস দাশ সংগঠনের উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেন এবং আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান চৌধুরী।
সভায় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নিসর্গ নিরব ইকো কটেজের স্বত্বাধিকারী কাজী শামসুল হক রাধানগর এলাকার পর্যটন উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি রাধানগরে অবস্থিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া, নভেম, বালিশিরা, নির্জন, এসকেডি ইকো গার্ডেন, শান্তিবাড়ি, ডিমোর, রোদেলা, মাধবীলতা, জলধারা, ভ্রমণ কুঠী, রঙ্গন, দহলীজ, হারমিটেজ, ছায়াবীথি, রানিং স্ট্রিম, বন্ধুর বাড়ি, ইচ্ছে বাড়ি, কাঁদা মাটির ঘর, মেজবান বাড়িসহ বিভিন্ন হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ও প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পর্যটনশিল্পের টেকসই উন্নয়নে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এই আয়োজন নিঃসন্দেহে রাধানগরের পর্যটন খাতের উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পর্যটন কল্যাণ পরিষদ তার নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে শুধু পর্যটন ব্যবস্থাপনা নয়, বরং প্রকৃতি, স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও শ্রীমঙ্গলের পর্যটনবান্ধব ভাবমূর্তি গঠনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।