প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ৩০, ২০২৫, ১২:৫৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
সিলেটে ১১ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

উৎফল বড়ুয়া, সিলেট:
বকেয়া মজুরি, রেশন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চা–শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘চা–শ্রমিক ও চা–বাগান রক্ষা কমিটির’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন শতাধিক চা–শ্রমিক।
শ্রমিকেরা জানান, টানা ১৩ সপ্তাহ ধরে মজুরি ও রেশন পাচ্ছেন না জেলার বুরজান চা–বাগান, বুরজান চা কারখানা, ছড়াগাং চা–বাগান ও কালাগুল চা–বাগানের শতাধিক শ্রমিক। বেতন–ভাতার দাবিতে তাঁরা একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
চা–শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে বন্ধ থাকা মজুরি, বাগান সরদারদের মাসিক বেতন, চা–শ্রমিকদের সাপ্তাহিক রেশন, বাগানের মাসিক বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বেতন প্রদান ও চা–শ্রমিকদের কর্তনকৃত পিএফ টাকা ফান্ড অফিসে জমা, শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান, শ্রমিকদের নিয়মিত বসতবাড়ি নির্মাণ, টিন, কাঠ, দরজা, জানালা প্রদান, শ্রমিকদের এরিয়া বকেয়া টাকা ও বকেয়া বোনাসের টাকা প্রদান, আইন মোতাবেক খাবার পানি ও স্যানিটেশন প্রদান এবং চা–বাগানের অবসরে থাকা শ্রমিকদের ফান্ডের টাকা প্রদান।
সিলেটের লাক্কাতুরা চা–বাগান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছায়। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চা–শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম।
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ‘চা–শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির’ সভাপতি রাজু গোয়ালা, সাধারণ সম্পাদক দেবু বাউরি, মালনীছড়া চা–বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি জিতেন সমর প্রমুখ। কর্মসূচিতে সিলেটের ২২টি বাগানের চা–শ্রমিক ও নেতারা অংশ নেন।
বক্তারা জানান, চা–শ্রমিকেরা মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। পাশাপাশি রেশন বন্ধ থাকায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিক পরিবারের সদস্য শিশুরাও পড়াশোনা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার নিয়ে কষ্ট করছে। এমন অবস্থায় চা–শ্রমিকেরা একযোগে কর্মবিরতিতে গেলে এর দায় বাগান কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার আহ্বান জানান তাঁরা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.