আজ রবিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না- এক প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না- এক প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

Sharing is caring!

মোঃ ওবায়দুল হক মিলন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

একটি রাবার ড্যামের কাজ শেষ করা প্রসঙ্গে ফসলের মাঠ থেকে মুঠোফোনে একজন প্রকৌশলীকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মুঠোফোনে বলেন ও আপনে খোঁজ রাখেন নাই, কয় দিন লাগবে? শুনেন, নাইলে আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। বুঝতে পারছেন। আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল)  বিকেলে সুনামগঞ্জে হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সদর উপজেলার দেখার হাওরের গোবিন্দপুর এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা প্রতীকী ধান কেটে কর্মসূচির উদ্বোধনের পর কৃষকদের সঙ্গে হাওরের ফসল, ধানের দাম, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন কৃষক জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেক এলাকার গজারিয়া রাবার ড্যামের সমস্যার কথা জানান। এটি এখনো সংস্কার না হওয়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তখন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর খোঁজ করেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন তখন সেখানে ছিলেন না। পরে উপদেষ্টা তাঁকে ফোন করে ওই রাবার ড্যামের বিষয়ে জানতে চান। সে সময় উপদেষ্টাকে এ কথাগুলো বলতে শোনা যায়। এ সময় উপদেষ্টা প্রকৌশলীকে রাবার ড্যামটির কাজ সাত দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
প্রকৌশলী কেন এখানে আসেননি, সেটিও জানতে চান উপদেষ্টা। একপর্যায়ে তাঁকে সেখানে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ফোনালাপের একটি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
উপদেষ্টা টেলিফোনে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর পাশে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা বলেন, যদি ধান কেনায় কোনো সিন্ডিকেট হয়, সেটি তাঁরা ‘সোজা’ করে দেবেন। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে কোনো ঝামেলা হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ‘ঝামেলায়’ পড়বেন। তিনি তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদারকে ডেকে বাঁধের বিষয়ে খোঁজ নেন।