আজ রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে এলজিইডির উদাসীনতায় রাস্তা নিয়ে হামলা-মামলা: ঘটনাস্থলে পদস্থ কর্মকর্তারা

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ণ
বরিশালে এলজিইডির উদাসীনতায় রাস্তা নিয়ে হামলা-মামলা: ঘটনাস্থলে পদস্থ কর্মকর্তারা

Sharing is caring!

মামুন-অর-রশিদ, বিশেষ প্রতিনিধি:

ব্রীজের সংযোগ সড়ক সম্পন্ন হওয়ার আগেই লাইনের বাস চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে মাজহারুল ইসলাম নামে একজন মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি বরিশালের মুলাদী থানার নাজিরপুর এলাকায়।

অবশেষে প্রকল্পের পদস্থ কর্মকর্তারা ১৯ এপ্রিল বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন, প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট ওয়াহিদ হোসেন, এলজিইডি বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম, মুলাদী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার তানজিলুর রহমান সহ অন্যান্য সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, মুলাদী উপজেলাধীন নাজিরপুর – রামারপোল আড়িয়াল খাঁ মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংযোগ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সাইনবোর্ড লাগানো এবং পিলার পুঁতে দেওয়া হয়। অথচ রাতের অন্ধকারে পিলার উপরে ফেলে রুট পারমিট ছাড়াই বিআরটিসি ও সেবা পরিবহন এর বাস চলাচল  করাচ্ছে একটি মহল।  বিষয়টি  লিখিতভাবে  অবহিত করাও হয়েছে।

অথচ এলজিইডি কর্তপক্ষ এ বিষয়ে অবহিত হয়েও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের দেওয়া রাস্তা বন্ধের সাইনবোর্ড কারা উপড়ে ফেললো বা কেন উপড়ে ফেললো তা নিয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাদেরকে বার বার বলার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিরা এই অবৈধ চলাচলে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। মুলাদী থানায় মামলা দায়ের হলে একজন আটক হয়।
স্থা্নীয়রা বলছে, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করেই এসব কাজ করছে এই চক্র।  ফলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারও কিছু করতে পারছেন না। সে কারনেই কোন প্রতিবাদই গায়ে মাখছেনা তারা।

এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, অসমাপ্ত সড়কে অবৈধভাবে ভারী যানবাহন দ্বারা  সংযোগ সড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে কয়েকদিন ধরে সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে এবং প্রচন্ড ধুলো বালিতে সড়কের পাশে অবস্থিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্হানীয় বাসিন্দারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। তাই আমি স্থানীয় এলজিইডি এবং ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করি।  জনস্বার্থে স্হানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে উপরে ফেলা পিলারগুলো পুনঃস্থাপন করি। অথচ এখানে এলজিইডি পুরো একটা দায়সাড়া ভাব দেখাচ্ছে।

.এ বিষয়ে এলজিইডি বরিশাল জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম বলেন, ওখানে কি হয়েছে তা আমি কিছুই জানিনা। আমরা গিয়েছিলাম প্রকল্পের কাজের অবস্থা দেখতে।
প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব ব্যাংকে কনসালটেন্ট ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান প্রকল্প পরিচালক সহ আমরা গিয়েছিলাম। তবে অবশ্যই নিরাপত্তা আগে। তাই কাজ সম্পন্ন ও আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন না হলে রাস্তা বন্ধ রাখাই উচিৎ। শুনেছি সেখানে এ নিয়ে হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি দুঃখ জনক।