প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
ইবিতে রাতের বেলায় ল্যাব ব্যবহারে বাঁধার অভিযোগ, আলোচনায় সমাধান

আবির হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রাত ৮টার পর বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব ব্যবহারে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত আটটার পর ‘উপর মহলের নির্দেশ’ এর কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের ল্যাব থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে। এমনকি বিভাগের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ল্যাব থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীদের। তবে ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা ছিল না’ বলে জানান প্রক্টর।
এদিকে এ ঘটনায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সায়েন্স ক্লাব। গবেষণাকাজে নিরবচ্ছিন্ন ল্যাব ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে দিনে ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন ল্যাব খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে তারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে শনিবার দুপুরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের কক্ষে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসে শাখা ছাত্রশিবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম, সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাঃ শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী সহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আধুনিক গবেষণাগার সার্বক্ষণিক খোলা রাখার দাবি জানান। এছাড়া সম্প্রতি গবেষণাকাজে বাঁধা দেওয়াকে ‘নিয়মের অপপ্রয়োগ এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও গবেষণাকেন্দ্রিক প্রয়াসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ উল্লেখ করে তারা গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহোযোগিতা কামনা করেছেন। এসময় ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কোনো নির্দেশনা ছিল না’ বলে জানান প্রক্টর। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বিষয়টির সমাধান হয়৷ একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে গবেষণা কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।
শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার উন্মুক্ত স্থান। এখানে যদি তাদের গবেষণা কাজে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে সেটি খুবই নিন্দনীয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুবিধা রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এসব ল্যাবে সার্বক্ষনিক তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম করতে পারবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার অনুসরণ করে আমরা শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা দিবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ল্যাব থেকে বের করে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাদেরকে বাঁধা দিয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করেছি। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে যেকোনো সময় ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.